Wednesday, September 18, 2024

যশোরের জলকার গ্রামের সন্ত্রাসী হালিম গং মানেই এখন ত্রাসের রাজত্ব

- Advertisement -

যশোর সদর উপজেলার ৩নং ইছালী ইউনিয়নের শুড়া গ্রামে চলছে, জলকার গ্রামের সন্ত্রাসী হালিমের নেতৃত্বে ত্রাসের রাজত্ব । দীর্ঘদিন ধরে তারা সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে আসছে। সন্ত্রাসীরা কখনো চাঁদার দাবিতে বাজারের ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করছে, কখনো সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আক্রমণ করছে। বাদ পড়ছে না ভ্যানচালকদের মত নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয়ভাবে এর কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে তার দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের।ভুক্তভোগীরা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জানমাল রক্ষার জন্যে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এসব নির্যাতনের ঘটনা। জলকার গ্রামের হালিমের নেতৃত্বাধীন ওই সন্ত্রাসী বাহিনী অন্য সদস্যরা হচ্ছে- একই গ্রামের সোহেল,মানু ,মাসুদ, নয়ন , রাজু , ইলিয়াস,শিমুল ও সাব্বির ।গত রবিবার রাতে সন্ত্রাসীরা শুড়া বাজারে নাজিম শেখের চায়ের দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চাঁদা দাবি করে। নাজিম শেখ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ব্যাপক মারপিট করে। তাদের মারপিটের শিকার হয় নাজিম শেখের কিশোর পুত্র সাকিব। এছাড়াও মারপিট ঠেকাতে এসে গুরুতর আহত হন চায়ের দোকানে বসা জয়নাল ও মিলন। এ সময় সন্ত্রাসীরা দোকান ভাঙচুর করে চলে যায়। এদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরাও। বিভিন্ন সময়ে চাঁদা না দেয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, উজ্জ্বল বোস, নিপু মজুমদার, মুরারী বোস। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সহকারে চাঁদা দাবি করে। শুড়া বাজারের নরসুন্দর মিহির সরকারও চাঁদা না দেয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন- ভ্যানচালক ইমারত আলী ভাড়া চাওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাকে টাকা না দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, তারা সবাই স্থানীয় এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার লালিত সন্ত্রাসী। তাদের নির্যাতনের পরও অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে পারেন না। সন্ধ্যা হলেই তারা আতঙ্কে থাকেন কখন না জানি সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রেহাই পেতে তারা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

রাতদিন নিউজঃ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত