যশোর সদরের জঙ্গলবাঁধাল গ্রামে মুদী ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট পূর্বক জখমের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোহাগ ওই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
আসামিরা হচ্ছে, একই গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী চায়না বেগম এবং তার ৪ ছেলে নুর মোহাম্মদ নুরু, তরিকুল ইসলাম, রাশেদ হোসেন ও ইয়াছিন হোসেন, হাশেম আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল আলীমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও তার ছেলে রাব্বি, আব্দুস শহিদের দুই ছেলে সুমন ও মামুন হোসেন,হাসান মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন, আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রহিমা খাতুন।
এজাহারে সোহাগ উল্লেখ করেন, আসামিদের সাথে তার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা দা, শাঁবল, লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি নিষেধ করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয় এবং লাঠি দিয়ে তার ওপর আক্রমন করে। এ সময় প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা জিআই পাইপ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিটে জখম করে। তার পিতা ও হাসান তালুকদার মারপিট ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারপিটে জখম করে। আহতদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসালে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাদি তার পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন।
আদালতের বিচারক মামলা আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা হিসেবে গ্রহনের নির্দেশে দেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৪