ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে বাঘারপাড়ার খানপুরের হোমিও চিকিৎসক মামুন মোল্যার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। খানপুর গ্রামের মোক্তার মোল্যার ছেলে সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা অভিযোগের তদন্ত করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি মামুন একই গ্রামের আব্দুল বারেক মোল্যার ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন অসুস্থ হলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খানপুর বাজারের মামুন হোমিও হলের চিকিৎসক মামুনের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার মামুন রোগীর কাছে শুনে কোন পরীক্ষা ছাড়াই তিনি হোমিও ওষুধ দেন। ডাক্তারের দেয়া ওষুধ সেবন করলে সুস্থ্য হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বিষয়টি ডাক্তার মামুনকে জানালে তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে রোগীর সারা শরীর ফুলে যায় শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। পরদিন রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর শহরের একটি হাসপতালালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ্য হন। ভুল হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে মৃত্যুর মুখে পতিত করার অভিযোগে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।