আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ভারতের তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র রাজ্য থেকে ১১ বাংলাদেশিকে মুসলিম যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশিকে তামিলনাড়ু রাজ্য থেকে এবং বাকি পাঁচ জনকে মহারাষ্ট্র থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ প্রবেশ ও বসবাসের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। পৃথক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়া টুডে এই খবর জানিয়েছেন।
দ্য হিন্দু’র খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর উত্তর তিরুপুর শহরের একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে ছয় বাংলাদেশিকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল। স্থানীয় পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের কর্মীদের নিয়ে গঠিত এই দলটি পরে সবার এনআইডি কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে। আটককৃতদের মধ্যে ছয় জনকে বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করেছে তারা। মূলত তাদের একটি নিটওয়্যার কারখানায় চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে মুধালিপালায়ামে নেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ছয় জনই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা হলেন ধনভীর (৩৯), রাশিব গাভুন (৪৩), মোহাম্মদ আসলাম (৪১), মোহাম্মদ আল ইসলাম (৩৭), মোহাম্মদ রাগুল আমিন (৩০) ও শাভুমুন শেখ (৩৮)। তবে সেখানে তাদের কোনও চাকরি দেওয়া না হলে তারা পালাধামের অন্য একটি কারখানায় কাজের সন্ধানে রওনা হন। পথিমধ্যে বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, বেআইনিভাবে দেশে থাকার অভিযোগে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর সৌরভী পাওয়ার বলেছেন, একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং সেল (এএইচটিসি) নালা সোপাড়ার একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, আরশাদ রহমতুল্লাহ গাজী (৫২), আলী মোহাম্মদ দিনমোহাম্মদ মণ্ডল (৫৬), মিরাজ সাহেব মণ্ডল (১৯), সাজাদ কাদির মণ্ডল (৪৫) ও সাহেব পঞ্চানন সরদার (৪৫)।
ইন্সপেক্টর সৌরভী জানান, তাদের কাছে ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা দশ বছর আগে নদীপথে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল।
সোমবার পররাষ্ট্র আইন ১৯৪৬ এবং পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন ১৯৫০-এর বিধানের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এ বিষয়ে তদন্তও চলছে।
রাতদিন -আন্তর্জাতিক ডেস্ক