Wednesday, December 4, 2024

ব্যবসায়ীর পায়ে গুলি করায় সাবেক এসপি আনিসসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

- Advertisement -

যশোরে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় ও গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে করা মামলাটি কোতয়ালি থানায় এজাহার হিসাবে রেকর্ড হয়েছে।

অপর আসামিরা হলো, যশোরের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার ক সার্কেল মিলু মিয়া বিশ্বাস, এসআই সোয়েব উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই আজগর আলী, এসআই জামাল উদ্দিন, এএসআই ইসরাফিল হোসেন, কনস্টেবল রোকনুজ্জামান, কনস্টেবল সালাউদ্দিন, কনস্টেবল আজম, কনস্টেবল সবুজ, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল কাফী, কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান, কনস্টেবল গোবিন্দ ও পুলিশের কথিত সোর্স সদরের রামনগর পুকুরকুল মাঠপাড়ার সোহরাব ডাক্তারের ছেলে আজিমুল হোসেন ও মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন। ঘটনার সাড়ে ১০ বছর পর গত ১৪ নভেম্বর শহরের বারান্দীপাড়ার ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান নান্নু আদালতে পিটিশন মামলা করলে আদালতের নির্দেশে শনিবার রাতে নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাসুদুর রহমান নান্নু একজন ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালের ৩১ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নির্দেশে অপর আসামিরা যশোর শহরের মণিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নান্নুকে। প্রথমে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন করতে থাকে।

এরপর তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দাবি করা হয় ৩০ লাখ টাকা। অন্যথায় ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেয় আসামিরা। নিরুপায় হয়ে জিম্মি থাকা নান্নুর ছোট ভাই মাহামুদুর রহমান বাবু ১০ লাখ টাকা দেন আসামিদের হাতে। নান্নুকে সকালে ছেড়ে দেয়া হবে বলে স্বজনদের আস্বস্থ করেন আসামিরা। গভীর রাতে আসামিরা নান্নুর চোখ বেঁধে সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নান্নুর হ্যান্ডকাপ ও চোখ খুলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে বলা হয়। না হলে ৩০ লাখ টাকা দিতে বলে।

এ সংবাদ পেয়ে নান্নু ভাই আরও ৫ লাখ টাকা দেন আসামিদের হাতে। টাকা পাওয়ার পরও আসামিরা নান্নুর পায়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। গুলিবিদ্ধ নান্নুকে পুলিশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ফেলে রাখে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলা দেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ পায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় নান্নুকে ঢাকায় নেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে যশোর এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় নান্নু জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামিদের আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে থাকায় তিনি এ মামলা করেছেন।

 

রাতদিন সংবাদ

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত