কপিলমুনি (খুলনা)প্রতিনিধি : পাইকগাছায় কপিলমুনির সোনা পট্টির একটি দোকানের (বাসন্তী জুয়েলার্স) মালিকানা নিয়ে প্রতারণা মামলায় উ: সলুয়া গ্রামের সুকুমার কর্মকার ও স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার গোপাল চন্দ্র দাশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানাগেছে, উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের বরাদ্দকৃত একটি দোকানের মালিকানা নিয়ে উ: সলুয়ার সুকুমার কর্মকার ও তার ভাই পঙ্কজ কর্মকারের মধ্যে মামলা চলমান রয়েছে। সিআর মামলা নং-১৩২৩/২২। বিগত দিনে তাদের পিতা মৃত গোস্ট কর্মকার জীবদ্দশায় স্থানীয় কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের মালিকানাধীন একটি দোকান বরাদ্দ নেয়। এরপর তার মৃত্যুর পর তার এক ছেলে সুকুমার জাল-তঞ্চকতামূলকভাবে দোকানার সম্পূর্ণ মালিকানা দাবি করে, তার এক ছেলেকে সেখানে জুয়েলার্সের দোকান করে দেয়। এরপর অপর ভাই পঙ্কজ তার অংশের দোকান দাবি করে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সিআইডি, খুলনা মেট্রো এন্ড জেলা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) অমিতাভ সন্যাসী বিষয়টি তদন্ত করেন। মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমাণে, সাক্ষীদের জবানবন্দি, দালিলিক সাক্ষ্য ও ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনায় ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় বিবাদী সুকুমার চন্দ্র কর্মকার, গ্রাম্য চিকিৎসক গোপাল চন্দ্র দাশ ও অর্জুন কুমার মন্ডলদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার উদ্দেশ্যে নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে “গোষ্ট বিহারী কর্মকার” এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে খাঁটি হিসাবে ব্যবহারের জন্য “দোকান ঘরটি আসামি সুকুমার এর নামে সম্পাদন করে দীর্ঘদিন যাবত নিজের বলে দাবি করায় বাদী তাকে দোকান ঘর ভাগ করে দিতে বললে আসামি ভয় ভীতি হুমকি প্রদান করা সহ অন্য ২ জন আসামির বিরুদ্ধে উপরোক্ত ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।
পজিশন হস্তান্তর পত্র” দলীল সৃজন করে উক্ত দোকান ঘরটি দীর্ঘ তদন্তে বিষয়টি পঙ্কজের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় আদালত বুধবার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
- Advertisement -