রাজশাহীর তানোর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের উসমান আলীর বড় মেয়ে ময়না খাতুন মুক্তা। ১১ বছর আগে একই এলাকার ওসমান গনির সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্ত্রীকে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করতেন তিনি। সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর ওসমান তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারি আরিফকে রাতে দাওয়াত করে বাসায় নিয়ে আসেন।
এরপর টাকার লোভে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের পর জোর করে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বন্ধুর সাথে রাত্রিযাপন করতে বলেন। কোন মতে বান্ধবীর বাড়িতে পালিয়ে সেদিন ইজ্জত রক্ষা করেন মুক্তা। বাধ্য হয়ে গেল ৯ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় স্বামীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে গা ঢাকা দেয় তারা।ভুক্তভোগী ময়না খাতুন মুক্তা বলেন, আমার স্বামী আমাকে ধরে রাখে, আর তার বন্ধু আরিফ ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি সেখান থেকে পরে পালিয়ে চলে যায়।ভুক্তভোগী ময়নার বাবা বলেন, আমরা অনেকটা আতঙ্কে আছি।রাজশাহী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোর সুশান্ত কুমার মাহাতো তার অফিস সহকারি আরিফকে বাঁচাতে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করলেও বিষয়টি অবগত নন বলে মন্তব্য করেন তিনি।এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবার ও গ্রামবাসী।গ্রামবাসীদের একজন বলেন, ‘বাবা মায়ের পর একটা মেয়ে তার স্বামীর ওপরই ভরসা করে। সেই স্বামীর কাছেই যদি নিরাপত্তা না পায় তাহলে কোথায় পাবে?’অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ। ভবঘুরে লম্পট ওসমান গনির আরো দুটি সংসার আছে।
অনলাইন ডেস্ক
- Advertisement -