চৌগাছার দীঘলসিংহা গ্রামের বিএনপির কর্মী রতন মৃধাকে পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় আদালতে করা মামলাটি চৌগাছা থানায় রেকর্ড হয়েছে। সোমবার অভিযোগটি চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। এরআগে রোববার নিহতের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে পুলিশ হেফাজতে ছেলে রতন মৃধাকে হত্যার অভিযোগে যশোর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা এ মামলা করেছিলেন।
মামলায় আসামিরা করা হয়েছিল, চৌগাছা থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম, এসআই ফায়েজ, এএসআই নাসির ও এএসআই জসিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চৌগাছার রতন মৃধা ছিলেন বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই রাতে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে অপর পুলিশ কর্মকর্তরা তার বাড়িতে হানা দেন। রতন তার রুমের দরজা না খোলায় ভেঙ্গে রুমে ঢোকে পুলিশ। এ সময় ঘর তল্লাশির নামে ওয়ারড্রফে থাকা নগদ ২০ লাখ টাকা নিয়ে নেয় পুলিশ। এরপর রতনকে ধরে জোর করে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। স্বজনেরা রাতে থানায় গিয়ে রতনকে না পেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে চৌগাছার কয়ারপাড়ার যেয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ রতন মৃধার লাশ রাস্তার উপর পড়ে আছে। কিছুসময় পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায় এবং ময়না তদন্ত শেষে রতনের লাশ ফিরিয়ে দেয় স্বজনদের কাছে। এ ঘটনায় নিহত রতনের মা থানায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহন না করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় নিহতের মা যশোর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মামলা করেন। আদালতের আদেশে সোমবার অভিযোগটি চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবের রুজু হয়েছে।
-রাতদিন সংবাদ