আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ায় ও দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় কামাল হোসেন চৌকিদার (৪৬) নামে এক প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কামাল হোসেন ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।
গত ২৩ নভেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া গ্রাম নিজবাড়ি থেকে প্রবাসী কামাল হেসেনকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে।
নিহত কামাল ওই গ্রামের মৃত মো. রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের বোন ফরিদা বেগম জানান, আওয়ামী লীগ করার অপবাদ দিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর আমার ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সাপলেজা মাছ বাজারে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও কাগজে জোর-জবরদস্তি করে স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় আমার ভাই নিজেই বাদী হয়ে ২৫ নভেম্বর শাহিন শরীফ, আলামিন, কামরুল, মনির হোসেন, মো. রুবেলের বিরুদ্ধে সেনাক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। হামলার সময় ৯৯৯-এ ফোন দিয়েও কোনো প্রকার সাড়া পায়নি। পরে ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাপলেজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের হয়রানি করার জন্য হাইব্রিড বিএনপি উঠে-পড়ে লেগেছে।
মঠবাড়িয়া সেনাক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের ডেকে এনে মীমাংসা হয়ে যাবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতদিন সংবাদ/ এহসান জামিল-১৫