সাড়ে ছয় বছর পর যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে রফিকুল ইসলাম মোল্লা ওরফে খোকন মোল্লার বাড়িতে হামলা মারপিট ভাংচুরের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। খোকন মোল্লা মৃত হামিক মোল্লার ছেলে। মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন গাইদগাছি গ্রামের ইমন মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার, হাছেন মোল্লা , মিরাজ মোল্লা, সোহান আহমেদ, হাসিব মোল্লা, সুমন মোল্লা , মেজবাহ মোল্লা , বসুন্দিয় মোড় ফারাজিপাড়ার ওমর মোল্লা, বসুন্দিয়া মোড়ের কাওছার আলী, তাজ খান, গাইদগাছি গ্রামের মঈন আহমেদ, বাবু মোল্লা, ধুলি বেগম, জয়ন্তা গ্রামের হাফিজ গাজী, এসকেন মীর্জা, অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামের সাগর হোসেন এবং সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের লিটন মল্লিক।
এজাহারে খোকন মোল্লা উল্লেখ করেছেন, আসামিরা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে তার বাড়িতে লাঠিসোটা, লোহার রব, শাবল প্রভৃতি নিয়ে প্রবেশ করে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। একইসাথে সারা শরীর পিটিয়ে জখম করেন। তার ঘরের মধ্যে ঢুকে শোকেজের ড্রয়ারে রাখা নগদ চার লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। দুই লাখ টাকা মূল্যের সোনার গহনা লুট করেন। বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আট লাখ টাকার ক্ষতি করেন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অনেকদিন ধরে তিনি চিকিৎসা নেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি সেলাই লাগে। পায়ে ও হাতে স্ক্রু লাগিয়ে কোন রকম তিনি জীবিত আছেন। তার পেছনের লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সেই সময় তার পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা সরকারি দলের সমর্থক হওয়ায় পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। এখন পরিবেশ অনুকুলে আসায় তার উপরে অত্যাচার নির্যাতনের বিচার দাবি করে তিনি আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে ওই পিটিশন কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে বৃহস্পতিবার রেকর্ড হয়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৮