যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জনকে জখম অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া ছোট বিলের ঘের থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান এবং ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সিদ্দিকুর রহমান ওই ঘেরের মালিকানা দাবি করে আসছেন।
হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের পক্ষের সারুটিয়া গ্রামের আলমগীর সরদার (৩৮), শফিকুল ইসলাম (২৬), মিকাইল হোসেন (৩৮), ফয়সাল হোসেন (২৩) ও মামুন সরদার (২৬) এবং বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষের সারুটিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন (৪৫), বিল্লাল সরদার (৪৫), আব্দুল্লাহ (৫০) ও মামুন হোসেন (২২)। সংঘর্ষে আহত অন্যরা এলাকা থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সুফলাকাটি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ স¤পাদক আহত বিল্লাল হোসেন বলেন, বিলের ৮৫ বিঘার ওই মাছের ঘেরটি জমির মালিকেরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সিদ্দিক বিশ্বাসের কাছে হারির বিনিময়ে ডিড (চুক্তিপত্র) করে দেয়। সকালে মাছ ধরার সময় মুনজুর চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। অপরদিকে আহত আলমগীর সরদার বলেন, মুনজুর চেয়ারম্যানের ঘের থেকে সিদ্দিক বিশ্বাসের লোকজন জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ায় তাদের উপর হামলা করে। এ সময় তার একটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান বলেন, ওই বিলের ঘেরটি তার নামে জমির মালিকেরা ডিড করে দিয়েছে। ঘেরের মাছ তারই। জোরপূর্বক সিদ্দিক বিশ্বাসের লোকজন মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তার লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তার পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে সিদ্দিক বিশ্বাস বলেন, গত নয় মাস ধরে ঘেরটি তিনি দেখাশোনা করছেন। জমির মালিকেরা তাকে ঘেরটি মাছ চাষ করার জন্য ডিড করে দিয়েছেন। তিনিও ঘেরের মাছের দাবি করেন। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘মাছের ঘেরকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
কেশবপুরে ঘের নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৭
- Advertisement -
- Advertisement -