বিশেষ প্রতিনিধিঃ লাশ উদ্ধারের ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও যশোরের অভয়নগর উপজেলায় প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলাম সাকিব (১৮) হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুভ্রপ্রকাশ দাস জানান, তারা হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার পর তার পিতা পলাতক রয়েছেন। যে কারনে পিতার বিরুদ্ধে পুত্র হত্যার সন্দেহ ঘনিভূত হচ্ছে। উপজেলার জাফরপুর গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত নির্মাণাধীন বাড়ির বালিদিয়ে ভরাট করা একটি রুমের মেঝ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার বিকালে নিহত সাকিবের বোন কুলসুম আক্তার পপি (৩২) জানান, তিনি স্বামী সন্তান দিয়ে পিতার বাড়ির পাশে বসবাস করেন।তার পিতা মুজিবুর রহমান পঞ্চায়েত(৭০) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে উঠে এসে এখানে বাড়ি করে প্রায় ৪০ বছর বসবাস করছেন। পিতা পেশায় একজন রং মিস্ত্রী। তারা পাঁচ বোন এক ভাই। ভাই বোনের মধ্যে সাকিব সবার ছোট। সব বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে তার পিতা ও সাকিব দুইজন এক সাথে বসবাস করেন। মায়ের মৃত্যুর পর পিতা কয়েক বছর আগে তার কাজের এক মহিলা হেলপারকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু সে পিতার সাথে বসবাস করেনা। মাঝে মাঝে পিতার বাড়ি বেড়াতে আসেন। ঘটনার চার দিন আগে মঙ্গলবার বিকালে তার পিতার সাথে দেখায় হয়। সে ভাত খেয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে পিতা মুখ টা মলিন করে বলেন, আমি ভাত খেয়েছি। এসময় সাবিক কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করলে করলে তিনি জানান, সাকিবকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে এসেছি। তার পর থেকে পিতাকে আর দেখা যাচ্ছে না। তার ফোন ও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ধারনা পিতাই সাকিবকে হত্যা করে লাশ পিতার নির্মানাধীন ঘরে বালি চাপা দিয়ে রেখেছিলো। চার দিন পর শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে লাশের পচন ধরলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে পরে ঘরে যেয়ে বালির মধ্যে চাপা দেওয়া লাশের দুই হাত দেখা যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সাকিবের লাশ উঠিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন বিকালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। শনিবার স্থানীয় ঘোড়াবটতলার একটি গোরস্তানে সাকিবের লাশের দাফন করা হয়।
পুলিশ জানায় এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। যে কারনে কোন মামলা হয়নি। পুলিশ সাকিবের পিতা মুজিবুর রাহমানকে আটকের চেষ্টা করছেন।
আর কে-০৮