মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন লিটনের বিরুদ্ধে নাগরিক সেবা গ্রহন করতে যেয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই এলাকার নজরুল ইসলাম মুরাদ। ইউপি নির্বাচনে লিটনের পক্ষে কাজ না করায় তার উপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন মুরাদ। সোমবার দুপুর ১টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান লিঠন মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। নজরুল ইসলাম মুরাদ চান্দুয়া গ্রামের মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১০ মে দুপুর ১টার পর মুরাদ ইউনিয়ন পরিষদে তার ও তার ছেলের জন্য নাগরিক সনদ আনতে যান। এসময় চেয়ারম্যান লিটন তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায় সেবা কেন্দের সামনে বাশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক মারপিট করে। এসময় মুরাদ জখম হন। সবশেষে সনদ না দিয়েই চেয়ারম্যান লিটন মুরাদকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিয়ে পরিষদ থেকে তাড়িয়ে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ইউপি নির্বাচনে লিটন সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। আর নৌকার প্রার্থী ছিলেন বিপদ ভঞ্জন পাড়ে। মুরাদ দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত । ফলে তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করেন। সেই সূত্র ধরে লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে মুরাদের উপর এ হামলা চালায়। এখন তিনি নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন উল্লেখ করে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আর উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলালীগের সভানেত্রী রিতা পাড়ে, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিম, কলিম মোল্লা, হাদি উজ্জামান রানা প্রমুখ।
রাতদিন সংবাদ