Thursday, April 25, 2024

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নড়াইলে সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি

- Advertisement -

 

সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল:

নড়াইলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সারাদেশে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মিদের হামলা মামলার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। এদিন দুপুরে নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাসায় কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকার আরেকটি নির্বাচনী ক্যু করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী দলকে কোন সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছেনা। দলীয় নেতা-কর্মিদের গ্রেপ্তারসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

শিরিন সুলতানার এ অভিযোগের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী, যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাসান, মাহাবুব মোর্শেদ জাপল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভি জর্জ, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান আলেক, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সায়দাত কবীর রুবেল, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানি প্রমুখ।
সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে অনুমতি না থাকায় এবং সহিংসতা এড়ানোর জন্য বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ও চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিছিল করে। মিছিলে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেওয়া হয়।

জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সারাদেশে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মিদের হামলা মামলা প্রতিবাদে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নড়াইল শহরের বিএনপি অফিস কার্যালয় এবং অফিসের পাশের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহারা ছিল। এদিকে শুক্রবার রাতে সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম পলাশ ও জেলা কৃষক দলের সাধাধণ সম্পাদক নবির হোসেনকে পুলিশ নড়াইল শহর থেকে আটক করে। আটককৃতদের শনিবার দুপুর ২টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলিয় সূত্রে জানা গেছে।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশী বাঁধায় আমরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারিনি। পরে কেন্দ্রীয় নেত্রী ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমার বাসভবনে অবস্থান করি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, অনুমতি না থাকায় বিএনপি কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। বিএনপি ও কৃষক দলের দু’নেতার আটকের ব্যাপারে বলেন, আশংকা ছিল তারা বিশৃংলা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ## ছবি আছে।

–রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত