Wednesday, April 24, 2024

চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে দু’গ্রুপের কোন্দল প্রকট

- Advertisement -

চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধিঃ নতুন কমিটি গঠন হলেও দুরাত্ব কমছেনা চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে। বরং নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে তুষের আগুনে পুড়ছে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতি।ভাটা পড়েছে দলীয় সকল কর্মকান্ডে। সম্মেলন একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বয়কট করার কারনে নতুন কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।

বর্তমানে প্রকাশ্যে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ এ অবস্থার জন্য দায়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ দু’নেতা। কৌশলে এই দুই নেতা কমিটিতে দলীয় ত্যাগি নেতা কর্মীদের বাদ রেখে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনে ৪৫৯ জন কাউন্সিলরের ভিতর ২৩০ জনই অনুপস্থিত থাকায় প্রমান করে দলীয় কোন্দল কতটা প্রকট চুড়ামনকাটিতে।

জানা যায়,গত ১এপ্রিল যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।এবারের সম্মেলনে দু’টি প্যানেলে ভোট যুদ্ধে নামার কথা থাকলেও একটি প্যানেলের নেতাকর্মীরা হঠাৎ নিজেদের সরিয়ে নেয়। কারন হিসাবে জানা গেছে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির বারবার সভাপতি ও তিন বারের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে জেলা ও থানা বিএনপির শীর্ষ দু’নেতা এবারের কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে নিষেধ করেন ও প্রলোভন দেখান জেলা বা থানা কমিটিতে তাকে আনা হবে যেকোন একটি পদে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, ঐ দুই নেতা আব্দুস সাত্তারের বাসায় বসে সিদ্ধান্ত নেন ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন হবেনা। তারা তাকে নির্বাচনে আসতে নিষেধ করেন। মূলত ঐ দুই নেতার কথামত আব্দুস সাত্তার সভাপতি প্রার্থী থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।আব্দুস সাত্তার সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন না এটা এলাকায় প্রচার হলে ক্ষোভ দেখা দেয় ইউনিয়নের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে। এ সময় পুরো সম্মেলনই বয়কট করেন সাত্তার পক্ষীয় নেতাকর্মীরা। নতুন কমিটি কিছুতেই মানতে পারছে না ইউনিয়ন বিএনপির বড় একটি অংশের নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনে ৯টি ওয়ার্ড কমিটির ৪৫৯ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি তৈরি করার কথা থাকলেও ২৩০ জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত থাকায় বোঝা গেছে কমিটির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে। তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ইউনিয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং দলের সব চেয়ে দুর্দিনের কান্ডারী সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে বাদ রেখে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি আমরা মানিনা।তাদের অভিযোগ জেলা ও থানা বিএনপির দুইজন নেতা কৌশলে এই নতুন কমিটি গঠন করিয়েছে।যা আমরা মানিনা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এবারের কমিটিতে বিগত দিনের কান্ডারী ও নির্যাতিতদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যারা দলের কঠিন দুঃসময়ে সামনে থেকেই সকল দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিপাদে আপাদে সব সময় পাশে থেকেছেন তাদেরকে বাদ রাখা হয়েছে এবারের কমিটিতে।

এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন,এবারের কমিটিতে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের চাহিদার প্রতিফলন ঘটিনি।যার কারনে ৪৫৯ জন কাউন্সিলর ভোটারের ভিতর ২৩০ জন সম্মেলন বয়কট করেন। তবে কি কারনে তিনি প্রার্থী হননি সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

নতুন নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইদ জানান,সম্পূর্ন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবারের কমিটি ভোটের মাধ্যমে করা হয়েছে। সরাসরি তৃনমুলের নেতাকর্মিদের ভোটের মাধ্যমেই আমরা পুরো প্যানেল ধরে বিজয়ী হয়েছি। তারা কমিটিতে আসতে পারবেনা জেনেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি।সাধারন সম্পাদক মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন,এবারের কমিটিতে ত্যাগী ও অবহেলিতরাই স্থান পেয়েছে।

কমিটির সাবেক নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব গাজী জানান, বড় দলে লবিং গ্রুপিং থাকতেই পারে। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সকল বিএনপির নেতাকর্মীরাই জননেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের অনুসারী।

সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরু নবী চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে বলেন,তফসীল ঘোষনার মাধ্যমে দিন দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে কে আসলো আর কে আসলো না সেটা মূখ্য বিষয় না। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত